জকিগঞ্জে প্রথম রোলে ছাত্রী দ্বিতীয় হওয়ায় শিক্ষককে পেটালেন অভিভাবক

জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: জকিগঞ্জে প্রথম রোল নাম্বারের ছাত্রী বার্ষিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় নাম্বার হওয়ায় শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছেন এক অভিভাবক। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গোটারগ্রাম ত্রিমোহনীতে।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানাগেছে, হাড়িকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর প্রথম রোলের ছাত্রী নাঈমা হক লস্কর বার্ষিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় নাম্বার হওয়ায় তার পিতা বদরুল হক লস্কর রোববার বিদ্যালয়ে গিয়ে উত্তেজিত হন। সোমবার শিক্ষকরা অভিভাবক বদরুল হকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাক আহমদ লস্করের নিকট বিচার দিতে গেলে বদরুল হক লস্কর এসে সভাপতির সামনে সহকারী শিক্ষক আবু সালমান শিব্বীরকে পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সহকারী শিক্ষক আবু সালমান শিব্বির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর প্রথম রোল নাম্বারের ছাত্রী নাঈমা হক লস্কর বার্ষিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় নাম্বার হওয়ায় তার পিতা বদরুল হক লস্কর বিদ্যালয়ে এসে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তার এ আচরণে শিক্ষকরা কিছু না বলে সোমবার বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাক লস্করের কাছে বিচার দিতে গেলে বদরুল হক লস্কর গোটারগ্রাম ত্রিমোহনীতের সভাপতির সামনে জনসম্মুখে আমাকে মারধর করেন। পরে মঙ্গলবার বিষয়টি আপোষে সমাধান করে দেন বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ কমিটির অন্য সদস্যগণ।

অভিভাবক বদরুল হক লস্কর বলেন, আমি বিদ্যালয়ের লেখাপড়া মান নিয়ে কথা বললে ওই শিক্ষক আমার উপর রাগান্বিত হয়ে খুব খারাপ আচরণ করেন। শিক্ষক আবু সালমান প্রথমে আমাকে ঘুষি মারলে আমি শিক্ষককে পাল্টা জবাব দেই। মঙ্গলবার ঘটনাটি সমাধান হয়েছে।

হাড়িকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলম বলেন, সহকারি আবু সালমান শিব্বিরকে গোটারগ্রামের বদরুল হক লস্কর জনসম্মুখে লাঞ্চিত করেছেন। শিক্ষকের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অত্যান্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাক আহমদ লস্কর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমরা সমাধান করে দিয়েছি। জকিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুস শহীদ তাপাদার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা শিক্ষকের উপর নির্যাতনকারীর অভিভাবকের দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার চাই।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি অফিসের কাজে ঢাকায় রয়েছি। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্ঠা করছেন এলাকার বিশিষ্টজনরা। সম্মানজনকভাবে সমাধান না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর